Mailing List
Sign up for our mailing list to get latest updates and offers.
বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬৩৯ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পুন্ড্রনগর পরিদর্শন করেন। তার ভ্রমণকাহিনীতে তিনি তৎকালীন প্রকৃতি ও জীবনধারা বর্ণনা করেছেন। বৌদ্ধ শিক্ষার জন্য বিখ্যাত হওয়ায় চীন ও তিব্বতের ভিক্ষুরা মহাস্থানগড়ে পড়তে আসতেন তারপর তারা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেতেন। সেখানে তারা বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ছড়িয়ে দেন
সেন রাজবংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণসেন (1082 - 1125) যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গারু অরক্ষিত ছিল। মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল যে তার ভাই নীলের সাথে বিবাদে লিপ্ত ছিল। সেই সময় ভারতের দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে আসেন। তিনি হলেন রাজা পরশুরাম। এই রাজা পরশুরাম রাম নামেও পরিচিত ছিলেন
হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহঃ) ও তাঁর শিষ্যগণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আগমন করেন। ধর্ম প্রচারক শাহ সুলতান বলখী সম্পর্কে একটি বিস্ময়কর কিংবদন্তি রয়েছে। মহাস্থানগড় অর্থাৎ প্রাচীন পুন্ড্রনগরে প্রবেশ করার সময় তিনি একটি বিশাল মাছের আকৃতির নৌকায় করে করতোয়া নদী পার হয়েছিলেন বলে জানা যায়। মহাস্থানগড়ে পৌঁছে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন, প্রথম রাজা পরশুরামের সেনাপ্রধান, মন্ত্রী ও কিছু সাধারণ মানুষ ইসলামের বাণী গ্রহণ করে মুসলমান হন। পুন্ড্রবর্ধনের লোকেরা হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল, শাহ সুলতানের সাথে রাজা পরশুরামের বিরোধ হয়েছিল।