Mailing List
Sign up for our mailing list to get latest updates and offers.
নামকরণের ইতিহাস
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত চা-কন্যা স্থাপত্য
শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ শ্রীমঙ্গলের নামকরণ। দুইশত বছরের পুরানো শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন কাহিনী থাকলেও নথিপত্রে লিপিবদ্ধ আছে- 'শ্রীদাস' ও 'মঙ্গলদাস' নামে দুজন মানুষ প্রথমে এখানে হাইল-হাওরের তীরে এসে বসতি স্থাপন করেন। এই দুই ভাইয়ের নামানুসারে জনবসতির নামকরণ করা হয় শ্রীমঙ্গল। অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে 'মঙ্গলচণ্ডী' দেবতার একটি স্থান ছিল। তাঁর নামানুসারে 'শ্রীমঙ্গল' নামকরণ করা হয়। দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ির দেশ শ্রীমঙ্গল। চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের খ্যাতি ও স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় 200 কি.মি. দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে 20 কিলোমিটার দক্ষিণে বিস্তীর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে এবং হাইল-হাওরের পাদদেশে ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে উপজেলা শ্রীমঙ্গল অবস্থিত। চায়ের রাজধানী হিসেবে বিখ্যাত শ্রীমঙ্গলের আয়তন ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার। পাহাড়, বন, হাওর ও সবুজ চা বাগানে ঘেরা শ্রীমঙ্গল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। প্রকৃতির মনোরম নিকেতন শ্রীমঙ্গলে রয়েছে চা বাগানের পর চা বাগান, চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, লাউয়াছড়া রেইনফরেস্ট, মাগুরছড়া গ্যাসওয়েল, চা গবেষণা কেন্দ্র, লাউয়াছড়া পরিদর্শন বাংলো, খাসিয়াপুঞ্জি, মণিপুরীপাড়া, ডিনস্টন কবরস্থান, হিন্দু তীর্থস্থান নির্মাই শিববাড়ি, টি-রিসোর্ট, পাহাড়িপুর, পাহাড়ি পাড়া। . ঝর্ণা, চারপাশে প্রকৃতির চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য আর হাজারো প্রজাতির গাছ ও গুল্ম। শ্রীমঙ্গলের পাদদেশে একসময়ের বৃহত্তর সিলেটের মৎস্য চাষ এবং শীতের শুরুতে সাত-সমুদ্র-তেরো-নদী পেরিয়ে আসা শীতের পাখিদের ঝাঁক বিখ্যাত 'হাইল-হাওর'। শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী খাসিয়া, মণিপুরী, টিপরা ও গারোদ আদিবাসীদের জীবনধারা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণে এ অঞ্চলের নামটিও অনেকের কাছে পরিচিত। এ নিয়ে নানা মত ও গুজব শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে দুর্বল।
যেমন: 'শ্রীদাস' ও 'মঙ্গলদাস' নামে দুই ধনী ভাই প্রথমে এসে এখানে হাইল-হাওরের তীরে বিশাল এলাকা জুড়ে বসতি স্থাপন করেন। পরে এটি শ্রীদাস, মঙ্গলদাসের এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং এক সময় এই দুই ভাইয়ের নামানুসারে এলাকার নাম হয় শ্রীমঙ্গল।